বাগেরহাটের বিভিন্ন স্থানে থাকা শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল, শেখ হাসিনার নাম ফলসহ শেখ পরিবারের সদস্যদের নামফলক ভাংচুর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাগেরহাট জেলা শহর, মোংলা, রামপালসহ বিভিন্ন এলাকায় এই ভাংচুর শুরু হয়। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য, স্থানীয় বাসিন্দারাও এতে অংশ নেয়।
‘জ্বালো জ্বালো, আগুন জ্বালো’, ‘ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও, ফ্যাসিবাদের আস্তানা’, ‘দিল্লী না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, এমন নানা স্লোগান দেয় সাধারণ ছাত্র-বিক্ষুব্ধ জনতা।
এদিন বিকেলে, বাগেরহাটের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, পৌর পার্ক ও শহীদ মিনারের বিপরীত পাশে থাকা শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভাঙ্গা হয়। মোংলায়, পৌর শিশুপার্ক, মুক্তিযোদ্ধা ভবন, উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে স্থাপিত শেখ মুজিবের ম্যুরাল ভেঙে ফেলা হয়৷
এদিকে রামপাল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেনের বাড়ি এবং অফিস ভাংচুর করেছে ছাত্র-জনতা। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে ভাংচুরের খবর পাওয়া গেছে।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ তৌহিদুল আরিফ বলেন, বিক্ষুব্ধ জনতা শেখ মুজিবের ম্যুরালসহ বেশকিছু স্থাপনা ভাংচুর করেছে। এটা ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। তবে জেলায় কোন অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটেনি।
প্রসঙ্গত, গত পাঁচ আগস্ট ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গতকাল (৫ ফেব্রুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে দেওয়া শেখ হাসিনার বক্তব্যের প্রতিবাদে মোংলায় শেখ মুজিবর রহমান’র ম্যুরাল ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ ছাত্রজনতা।